স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) অনুযায়ী বাংলাদেশে ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ অথাৎ প্রতি দশজনে তিন নারী তামাক ব্যবহার করেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এম আব্দুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত থাকায় তার পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, তামাক ব্যবহারের কারণে (ধোঁয়াযুক্ত- ধোঁয়াবিহীন) যেকোনো ধরনের তামাকই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (২০০৪) এক গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০ বছরের বেশি বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫৭ হাজার মৃত্যু এবং ৩ লাখ ৮২ হাজার পঙ্গুত্ববরণ করেন। ইনিস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তামাক ব্যবহারের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৯৭ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরো বলেন, তামাক ব্যবহারের কারণে প্রধান আটটি রোগ হয়। এগুলো হলো-হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, মস্তিকে স্ট্রোক, মুখের ক্যানসার, শ্বাসনালী/খাদ্যনালীতে ক্যানসার, ফুসফুসের শ্বাসতন্ত্রের বাধাজনিত রোগ, ফুসফুসে যক্ষা, বার্জারস ডিজিস।
মন্ত্রী বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকি। বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০০৫ এবং ২০০৬ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ প্রণয়ন করে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০১৫ অনুসারে ১৯ মার্চ ২০১৬ থেকে সকল তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেটের ৫০ ভাগ জায়গাজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ করা হচ্ছে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply